ক্যাডেল লাস্ট এর দাবি ২০৫০ সালে নতুন প্রজাতির মানুষ

২০৫০ সালে নতুন প্রজাতির মানুষ
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন বিবর্তনের মধ্য দিয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির মানুষের উদ্ভব ঘটব ও বদলে যাবে মানুষের দেহাকৃতি।
গ্লোবাল ব্রেইন ইনস্টিউটের গবেষক ক্যাডেল লাস্ট দাবি করেছেন ‘বিবর্তনজনিত রূপান্তরের’ মধ্যে যাবে মানবপ্রজাতি। ‘হিউম্যান ইভোলিউশন, লাইফ হিস্টোরি থিওরি অ্যান্ড দ্য এন্ড অফ বায়োলজিক্যাল রিপ্রোডকশন’ শিরোনামে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি কারেন্ট এজিং সায়েন্সে।
ক্যাডেল লাস্ট দাবি করেছেন,  মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ১২০ বছর হবে। আরো বেশি দিন বাঁচতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে, বৃদ্ধ বয়সে সন্তান নিতে পারবে ও জাগতিক কাজে সহায়তার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিসম্পন্ন রোবট ব্যবহার করতে পারবে, চার দশকেরও কম সময়ের মধ্যেই বা ধারণা করেন ২০৫০ সালের আগেই।
এই পরিবর্তনের উদাহরণ হিসাবে দাবি করে লাস্ট বলেছেন, যেমন বিবর্তন ফলস্বরূপ বানর থেকে বনমানুষ ও বনমানুষ থেকে মানুষে বিবর্তনের সঙ্গে তুলনীয়।
মি. লাস্ট বলেন, আপনার বয়সের সময় বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড এপ্স ব্যবহার করেছেন কিন্তু দাদা-দাদী সময়ে এসব কিছুই ছিলনা তাই আপনার ৮০-১০০ বছর বয়সের সাথে দাদা-দাদির সময়ের অনেক পার্থক্য রয়েছে। ভবিষ্যতে মানুষ ভার্চুয়াল বাস্তবতায় বাস করতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
এবং অনেক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন, ২০৫০ সালে মানুষের আয়ু বেড়ে ১২০ বছর হবে।
বিজনেস ইনসাইডারে প্রকাশিত ক্রিস্টিনা স্টেরবেঞ্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাস্টের দাবি, মানুষের যৌনজীবনের পূর্ণতা আরো বৃদ্ধি পাবে। মানুষ তাদের জীবনের ব্যাপ্তিকে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দীর্ঘদিন বাঁচতে চাইবে।
লাস্ট ডেইলি মেইলকে বলেছেন, বর্তমানে বৈশ্বিক সমাজ সম্পূর্ণূ বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। কিন্তু এই সংকটের মধ্যেই সুযোগ আছে। আমি মনে করি পরবর্তী ধাপকে মানুষ অনেক বেশি অত্যাধুনিক ও সুন্দর করবে। আধুনিক পৃথিবীর চেয়ে পরবতী ধাপ ভিন্ন হবে। এর সাথে মধ্যযুগের সাথে বর্তমান যুগের পার্থক্যের তুলনা করা যেতে। ভবিষ্যতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ তার নিজের জীবন ঘড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। মানুষ চাইলে তার জীবন ঘড়ি কিছু সময়ের জন্য স্থগিত রাখতে পারবে। এই পরিবর্তন এখনই শুরু হয়েছে। বর্তমানে গড়ে ২৯.৮ বছর বয়সে তাদের প্রথম সন্তান জন্ম দেন ব্রিটেনের নারীরা। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭০ সালে মাত্র এক শতাংশ নারী ৩৫ বছর বয়সে প্রথম সন্তান জন্ম দিতেন। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে তার সংখ্যা বেড়ে ১৫ শতাংশ হয়েছে।
উৎসঃ ইন্টারনেট