যে তিনটি কারণে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানব সভ্যতা

স্টিফেন হকিং বিভিন্ন সময়ে মানব সভ্যতার ব্যাপারে তার বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন। সমকালীন তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করা হয় তাকে। ব্ল্যাক হোল এবং গ্র্যাভিটেশনাল সিঙ্গুলারিটির ব্যাপারে গবেষণা করে আজ তিনি বিশ্বখ্যাত। তার মতে, নিম্নোক্ত তিনটি কারণে মানব সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে-


১) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান-
কয়েক জন গবেষকদের একটি দল এবং স্টিফেন হকিং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থানের ব্যাপারে শঙ্কিত এবং তাদের ধারণা একই রকম যে, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং মানুষের ধ্বংস ডেকে আনতে পারে এক সময়ে। যদিও অনেকেই মনে করেন, এমন শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির প্রযুক্তি এখনো মানুষের নেই।
২) মানুষ্য তৈরি আগ্রাসন-
হকিং এর মতে, মানুষের সবচাইতে বড় ত্রুটি হলো আগ্রাসন। আমরা নিজেরাই নিজেদের বিলুপ্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারি। এর কারণ হলো আমাদের তৈরি করা যন্ত্রই আমাদের ধ্বংস করে ফেলতে পারে। প্রাচীন মানব সভ্যাতার সময়ে গুহামানবদের আগ্রাসনের মনোভাব আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করতো, কিন্তু এখন এর কারণেই আমাদের ধ্বংস আসন্ন। উদাহরন হিসেবে তিনি বলেন, একটি বড় ধরণের নিউক্লিয়ার যুদ্ধ খুব কম সময়েই সভ্যতা ধ্বংস করে দিতে পারে। এবং মানুষের অস্তিত্ব পৃথিবী থেকে একে বারে মুছে ফেলতে পারে। এ কারণে তিনি বিশ্বাস করেন, মানুষের বুদ্ধি ও তৈরি যন্ত্র মানুষে জন্য ভয়াবহ তাই মহাশূন্যে মানুষের জন্য নতুন বসতি খোঁজাটা খুবই জরুরি। এতে আগামি প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাটা সম্ভব হতে পারে।
৩) অন্য গ্রহের প্রাণী-
২০১০ সালে হকিং বলেছিলেন, পৃথিবীর বাইরে যদি বুদ্ধিমান প্রাণী থেকেও থাকে, তবে তারা মানুষের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তারা বেশ বিপজ্জনক হতে পারে তারা। এমনটা হওয়াটা খুব স্বাভাবিকই হবে যে, এলিয়েনরা পৃথিবীতে তাদের বসবাসের আবাসন সৃষ্টি করতে গিয়ে মানব সভ্যতা ধ্বংস করে ফেলতে পারে। অথবা পৃথিবীর সব প্রাকৃতিক সম্পদ তুলে নিয়ে যেতে পারে যা মানব সভ্যাতার জন্য হুমকি স্বরূপ।

উৎসঃ ইন্টারনেট