রমন এফেক্ট
আবিষ্কার : ১৯২৮ খ্রীস্টাব্দ
বিজ্ঞানী : চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরমন
সমুদ্রের নয়ন-জুড়ানো নীল রঙ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষক উত্সুক হন কি ভাবে আলো বিক্ষিপ্ত হয় অনু-দ্বারা । রমনের নেতৃত্বে গবেষকরা দেখালেন যে বিক্ষেপের ফলে আলোর রং বদলে যেতে পারে ।
সূর্য বা জলন্ত কোনও বস্তু থেকে আমরা যে আলো পাই তা' বহু রঙের সংমিশ্রণ । কাঁচের প্রিজমের ভিতর দিয়ে পাঠিয়ে এসব রঙ আলাদা করা সম্ভব । রামধনুর মত যে জিনিসটি আমরা পাই তাকে বলে বর্ণালী(spectrum)। সাদা কাপড় বা কাগজের মতন অমসৃণ জিনিসের থেকে আলো বিক্ষিপ্ত হয়, তবে মোটামুটিভাবে রঙ অপরিবর্তিত থাকে । যদি সাদা আলো রঙীন কাপড় বা কাগজের উপর পড়ে তা'হলে বর্ণালীর কিছু অংশ শোষিত হয়, বাকিটুকু বিক্ষিপ্ত হয়। এখানে রঙের আপাত পরিবর্তন ঘটে যা' প্রকৃত নয় । বিক্ষিপ্ত আলোর বর্ণালী বিশ্লেষণ করে এটা বোঝা যায় । দেখা যায়, বিক্ষিপ্ত আলোর মতই কিছু রঙ দুর্বল হয়ে গেছে বা বাদ পড়ে গেছে । অসচ্ছ বস্তু থেকে সাধারণভাবে বিক্ষিপ্ত আলোতে নূতন কোনও রঙ তৈরী হয়নি । রমন এফেক্ট দেখতে গেলে আমাদের স্বচ্ছ বা আধা-স্বচ্ছ বস্তুর মধ্য দিয়ে আলো পাঠাতে হবে । বস্তুর মধ্যেকার অণু দিয়ে সেই আলো বিক্ষিপ্ত হয়ে বাইরে বেড়িয়ে আসবে । তবে ব্যবহার করতে হবে সাদা আলোর বদলে একক তরঙ্গ দৈর্ঘের আলো । স্পেকা্ট্রোস্কোপের প্রিজম ব্যবহার করলে দেখা যাবে বিক্ষিপ্ত আলোর বর্ণালী আপতিত আলোর বর্ণালীর থেকে বিভিন্ন । এই নূতন রশ্মি সৃষ্টি হচ্ছে যখন বস্তুর অণুরা আপতিত রশ্মি বিক্ষিপ্ত করছে । অণুরা আলোর উপরে ক্রিয়া করে আলোর কিছু অংশ নূতন রঙ বা রশ্মিতে পরিণত করে দেয় ।
রমন বর্ণালীতে যে নতূন রশ্মি বা রঙ পাওয়া যায় তা' প্রকৃতই আপতিত আলোর রঙের পরিবর্তনে সৃষ্ট হয় । রমন রশ্মি পদার্থ ও রসায়ন-বিদ্যায় ব্যবহৃত বস্তুর মূল গঠন প্রকৃতি জানার সরল শক্তিশালী পদ্ধতি জোগালো । পাওয়া গেল পদার্থ বিজ্ঞান বা রসায়ন-বিদ্যায় আনবিক গঠন সম্বন্ধে বহুরকমের প্রশ্নের উত্তর ।
সূর্য বা জলন্ত কোনও বস্তু থেকে আমরা যে আলো পাই তা' বহু রঙের সংমিশ্রণ । কাঁচের প্রিজমের ভিতর দিয়ে পাঠিয়ে এসব রঙ আলাদা করা সম্ভব । রামধনুর মত যে জিনিসটি আমরা পাই তাকে বলে বর্ণালী(spectrum)। সাদা কাপড় বা কাগজের মতন অমসৃণ জিনিসের থেকে আলো বিক্ষিপ্ত হয়, তবে মোটামুটিভাবে রঙ অপরিবর্তিত থাকে । যদি সাদা আলো রঙীন কাপড় বা কাগজের উপর পড়ে তা'হলে বর্ণালীর কিছু অংশ শোষিত হয়, বাকিটুকু বিক্ষিপ্ত হয়। এখানে রঙের আপাত পরিবর্তন ঘটে যা' প্রকৃত নয় । বিক্ষিপ্ত আলোর বর্ণালী বিশ্লেষণ করে এটা বোঝা যায় । দেখা যায়, বিক্ষিপ্ত আলোর মতই কিছু রঙ দুর্বল হয়ে গেছে বা বাদ পড়ে গেছে । অসচ্ছ বস্তু থেকে সাধারণভাবে বিক্ষিপ্ত আলোতে নূতন কোনও রঙ তৈরী হয়নি । রমন এফেক্ট দেখতে গেলে আমাদের স্বচ্ছ বা আধা-স্বচ্ছ বস্তুর মধ্য দিয়ে আলো পাঠাতে হবে । বস্তুর মধ্যেকার অণু দিয়ে সেই আলো বিক্ষিপ্ত হয়ে বাইরে বেড়িয়ে আসবে । তবে ব্যবহার করতে হবে সাদা আলোর বদলে একক তরঙ্গ দৈর্ঘের আলো । স্পেকা্ট্রোস্কোপের প্রিজম ব্যবহার করলে দেখা যাবে বিক্ষিপ্ত আলোর বর্ণালী আপতিত আলোর বর্ণালীর থেকে বিভিন্ন । এই নূতন রশ্মি সৃষ্টি হচ্ছে যখন বস্তুর অণুরা আপতিত রশ্মি বিক্ষিপ্ত করছে । অণুরা আলোর উপরে ক্রিয়া করে আলোর কিছু অংশ নূতন রঙ বা রশ্মিতে পরিণত করে দেয় ।
রমন বর্ণালীতে যে নতূন রশ্মি বা রঙ পাওয়া যায় তা' প্রকৃতই আপতিত আলোর রঙের পরিবর্তনে সৃষ্ট হয় । রমন রশ্মি পদার্থ ও রসায়ন-বিদ্যায় ব্যবহৃত বস্তুর মূল গঠন প্রকৃতি জানার সরল শক্তিশালী পদ্ধতি জোগালো । পাওয়া গেল পদার্থ বিজ্ঞান বা রসায়ন-বিদ্যায় আনবিক গঠন সম্বন্ধে বহুরকমের প্রশ্নের উত্তর ।