রাসায়নিক বন্ধন

রাসায়নিক বন্ধন
                                                      

বত্‍‌সর : ১৯২৮ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : লাইনাস পাওলিং ও রবার্ট মিলিকান


১৯২০ খ্রীষ্টাব্দের শেষভাগে এটোমের প্রকৃতি সম্বন্ধে জ্ঞাত হওয়ার বিষয়টি পদার্থবিদা্‌ ও রসায়নবিদা্‌-দের ব্যস্ত রেখেছিল এক সমস্যা নিয়ে । সমস্যাটি হয়েছিল যে বিজ্ঞানের এই দুই পৃথক ক্ষেত্র আলাদা আলাদা ফল দিচ্ছিল, বিশেষতঃ কোয়াণ্টাম বলবিদ্যর প্রয়োগে ।

সমস্যাটি কারবন-কে নিয়ে । পদার্থবিদা্‌ ও রসায়নবিদা্‌-রা জানতেন যে এর আছে ছয়টা ইলেকা্‌ট্রন, দুটো ভিতরের শেলে, চারটি বাইরের শেলে । রসায়নবিদরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে কারবন অন্য এটমের সঙ্গে চারটি বন্ধনে মিলিত হয় যার আকৃতি একটি ত্রিকোণ-ভূমি চতুস্তলীয় পিরামিড(triangular-based tetrahedral pyramid)। এই বন্ধন নিশ্চ্তভাবে নির্মিত হয়েছে কারবনের চারটি বাইরের-শেলের প্রত্যেকটি ইলেকা্‌ট্রন দ্বারা অন্য একটি এটমের ইলেকা্‌ট্রন-সহযোগে । কিন্তু, পদার্থবিদা্‌-রা দেখিয়েছেন যে চারটি ইলেকা্‌ট্রনের দুটি সামান্যকম শক্তি-লেভেলে স্থিতু থাকে, অন্যদুটিকে বন্ধনের জন্য রেখে । বন্ধনের বর্তমান তত্ত্ব এটি স্বীকার করেনা ।

দু'জন রসায়নবিদ, লাইনাস পাওলিং(Linus Pauling) ও রবার্ট মিলিকান(Robert Mulliken)আলাদা আলাদা ভাবে জটিল গণিত ব্যবহার করে দুটি পর্যবেক্ষণের মধ্যে মীমাংসা করলেন । আলাদা গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে তাঁরা দেখালেন কিভাবে বাহিরের-শেলের ঘুর্ণায়মান ইলেকা্‌ট্রনগুলি একত্রিত হয় মলিকিউল-বন্ধন স্থাপনে ।

পাওলিং প্রথমে ( ১৯২৮ খ্রী-তে ) একটি গবেষণা-পত্র দ্বারা সমস্যার উত্তর দিলেন, যেটা পরে একটি অতি প্রয়োজনীয় বিখ্যাত পুস্তক The Nature of the Chemical Bond and the Structure of Molecules রূপে প্রকাশিত হয়।



সাইমন ডেভিস
Defining Moments of Science