ইলেকট্রন স্পিন

ইলেকট্রন স্পিন
                                                     

আবিষ্কার : ১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : জর্জ উলেনবেক
স্যাম গাউণ্ডসমিট


১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে একটি উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার করেন জর্জ ই. উলেনবেক এবং স্যাম এ. গাউণ্ডসমিট। ইলেকা্‌ট্রনকে এতোদিন বিন্দু তড়িতাধান বা তড়িতাধান-যুক্ত ছোট গোলক হিসাবে ভাবা হত। দেখা গেল ইলেক‌ট্রনের স্পিন গতিবেগ আছে সহজাত- স্পিন কৌনিক গতিবেগ। পৃথিবী যেমন নিজের অক্ষের চারপাশে ঘোরে, ইলেকট্রনের স্পিন গতি অনেকটা সেরকম। স্পিন কৌনিক ভরবেগের সঙ্গে সংশ্লিস্ট চুম্বক ভ্রামক আছে। অবশ্য স্পিনের বেলায় কৌনিক ভরবেগ ও চুম্বক ভ্রামকের অনুপাত সাধারণ কৌনিক ভরবেগ ও তত্‍‌সংশ্লিষ্ট চুম্বক ভ্রমকের অনুপাতের দ্বিগুণ। বিজ্ঞানীদ্বয় এই সিদ্ধান্তে এলেন পরমাণু বিশ্লেষণ করে।

কথিত আছে, উলেনবেক এবং গাউণ্ডসমিট দুজনে যখন লেডেনে এয়ারেনফেস্ট-এর পরীক্ষাগারে কাজ করতেন তখনই ইলেকট্রন স্পিন সংক্রান্ত ধারনাটি তাঁদের মনে আসে ; একটি প্রবন্ধের আকারে তাঁরা একটি জার্নালে প্রকাশের জন্য পাঠান। এ বিষয়ে পাউলী-র অভিমত চাইলে পাউলী বোঝালেন যে এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই। একথা জেনে বিজ্ঞানীদ্বয় তাদের প্রবন্ধটি প্রত্যাহার করে নিতে চাইলেন। এয়ারেনফেস্ট তাঁদের বোঝালেন যে যেহেতু তাঁদের বয়স কম সেহেতু একটি স্বল্প বুনিয়াদযুক্ত প্রবন্ধ ছাপানো বিশেষ কিছু আসবে যাবে না। পদার্থ বিজ্ঞানের জার্নালে তা' ছাপা হয়ে গেল। পরে পাউলীর সমালোচনা খণ্ডন করলেন এইচ এল. টমাস। টমাস দেখালেন আপেক্ষিকতাবাদের একটি সূক্ষ ধারণা ফরমূলার ত্রুটি সংশোধন করে দিচ্ছে। উলেনবেক এবং গাউণ্ডসমিট-কে আমরা ইলেকট্রন স্পিনের আবিষ্কারক হিসাবে ভাবতে পারি।