উইলিয়াম কুলিজ এবং তাঁর এক্স-রশ্মি টিউব

উইলিয়াম কুলিজ এবং তাঁর এক্স-রশ্মি টিউব
                                                                     

আবিষ্কার : ১৯১৩ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : উইলিয়াম কুলিজ

এক্স-রশ্মি

উইলহেল্ম কনরাড রঞ্জন (Wilhelm Conrad Rontgen) আকস্মিক ভাবেই আবিষ্কার করেছিলেন একটি বিম্ব, তাঁর ক্যাথোড রশ্মি জেনারেটর থেকে প্রক্ষিপ্ত, ক্যাথোড-রশ্মির সীমা ছড়িয়ে । পরবর্তী অনুসন্ধান থেকে জানা গেল যে রশ্মিটি উদ্ভুত হয়েছে নির্বাত নল (vacuum tube)-এর ভিতর দিকে ক্যাথোড-রশ্মির স্পর্শ-বিন্দুতে, কোনও চৌম্বক-ক্ষেত্র দ্বারা বিচলিত না হয়ে ।

এক্স-রশ্মি টিউব

রঞ্জনরশ্মির সাহায্যে যে রোগ নির্ণয়ের যে প্রথা আজ চালু রয়েছে, কোনও সন্দেহ নেই তার জন্য পুরো কৃতিত্ব হল ১৯১৩ খ্রীষ্টাব্দে আবিষ্কৃত কুলিজ একস্ রশ্মি টিউব । কুলিজের টিউব-এর বৈশিষ্টগুলি হল উচ্চ ভ্যাকুয়াম এবং ইলেক্ট্রনের উত্স হিসাবে উত্তপ্ত ফিলামেণ্ট । টিউবের ভিতরে এত কম গ্যাস আছে যে একক্স্রশ্মি উত্পাদনে এর কোনও ভূমিকা নেই ।

কুলিজ টিউবের মূল আকৃতি হল একটি বর্তুলাকার বালব্ দুটি বেলনাকৃতি মুখোমুখি 'বাহু'-সহ । বাহুদুটি হল ক্যাথোড ও অ্যানোড । টিউবের পৃষ্ঠতলের আয়তন বেশি রাখা হয়েছে তাপ বিকিরণ বর্ধিত করার জন্য । তা'ছাড়া বড় মাপ হলে ভিতরের প্রতি একক ক্ষেত্রে টাংষ্টেন কম অবক্ষিপ্ত হবে ।
ক্যাথোড-ফিলামেণ্ট যত তাপিত হবে তত বেশি ইলেক্ট্রন বিচ্ছুরণ হবে ; ধাবিত হবে ধণাত্মক অ্যানোডের দিকে । ইলেকট্র্নগুলি যখন অ্যানোডকে আঘাত করবে , তা' দিকভ্রষ্ট হয়ে একস্রশ্মি নির্গত করবে অবিচ্ছিন্নভাবে । একস-রশ্মির সর্বোচ্চ শক্তির পরিমাণ হল ইলেক্ট্রনের গতীয় শক্তির সমান ।