মোহোরোভাইক বিচ্ছিন্নতা

মোহোরোভাইক বিচ্ছিন্নতা
                                                 

আবিষ্কার : ১৯০৯ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : আন্দ্রিজা মোহোরোভাইক


মোহোরোভাইক বিচ্ছিন্নতা (MohorobhaaIk discontinuity) বা 'মোহো' বলতে বুঝায় পৃথিবীর ত্বক এবং গুরুমণ্ডল (চরসেত অনদ মঅনতলএ)-এর মধ্যকার সীমারেখা । নীচের চিত্রে লাল রঙ-এর দাগ দ্বারা চিহ্নিত ।

পৃথিবীর অন্তঃস্থলে এই বিচ্ছিন্নতা আবিষ্কৃত হয়েছিল ভূক্মপীয় ঢেউ-এর (seismic waves) দ্বারা, ১৯০৯ খ্রীষ্টাব্দে ; আবিষ্কারক ক্রোয়েশিয়াবাসী আন্দ্রিজা মোহোরোভাইক । ভূকম্পবিজ্ঞানী । তিনি দেখলেন যে ভূক্মপীয় ঢেউ-এর গতি নির্ভরশীল সেই পদার্থের ঘনাঙ্কের উপর যার ভিতর দিয়ে সেটা প্রতিবাহিত হচ্ছে ।

ভূবিজ্ঞানে 'বিচ্ছিন্নতা' (discontinuity) শব্দটি ব্যবহৃত হয় যখন কোনও ধরাপৃষ্ঠে ভূক্মপীয় ঢেউ-এর গতি পরিবর্তিত হয় । এমন একটি পৃষ্ঠ হল সমুদ্রতলের গড়ে ৮ কিলোমিটার তলায়। আর একটি বিচ্ছিন্নতা পোায়া গেছে মূল ভূখণ্ডের তলায়- গড়ে প্রায় ৩২ কি.মি. ণীচে । এ ধরণের ভূপৃষ্ঠকে বলা হয় মোহোরোভাইক বিচ্ছিন্নতা বা সংক্ষেপে 'মোহো' ।