বোর-এর আনবিক মডেল

বোর-এর আনবিক মডেল

                                                                        

আবিষ্কার : ১৯১৩ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : নীলস্ বোর


১৯১৩ খ্রীষ্টাব্দে বিজ্ঞানী নীলস্ বোর পরমাণুর একটি মডেল প্রস্তাব করলেন, যা'তে পরমাণুর কেন্দ্রে আছে একটি ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রীণ যার চতুর্দিকে ঘুরছে এক বা একাধিক ইলেক্ট্রন- অনেকটা সৌরমণ্ডলের মতন, কিন্তু কেন্দ্রীণ ও ইলেক্ট্রনের মধ্যে বাঁধন হল- অভিকর্ষ নয়, স্থিরতড়িত্ বল। এটি আগেকার মডেল যথা, 'কিউবিক মডেল' ( ১৯০২ খ্রী ) , 'প্লাম-পুডিং মডেল' ( ১৯০৪ খ্রী ), 'স্যাটারনিয়ান মডেল' ( ১৯০৪ খ্রী ) এবং 'রাদারফোর্ড মডেল ( ১৯১২ )-র উত্কর্ষসাধন । বস্তুতঃ, বোর-মডেল হল রাদারফোর্ড মডেলের কোয়াণ্টাম-তত্বভিত্তিক ঔত্কর্ষ, যার জন্য অনেকসময় দুটিকে যুক্ত করে বলা যায় 'রাদারফোর্ড-বোর মডেল' ।
চিত্র : বোর মডেল

বোর-এর তত্বের মৌলিক নীতিগুলি হল : ( ১ ) যে কোনও কক্ষপথে ইলেক্ট্রনের শক্তি হল ধ্রুব (constant)- যতক্ষণ কোনও ইলেক্ট্রন নিজস্ব কক্ষপথে থাকবে এটি শক্তি শোষণ করবে না বা বিকিরণ করবে না । ( ২ ) ইলেক্ট্রনের কক্ষপথ হল বৃত্তাকার ( চিত্র ) । অনেকসময় এই কক্ষপথকে উল্লেখ করা হয় 'শক্তিস্তর' নামে । ( ৩ ) যদি কোনও ইলেক্ট্রন উঁচু শক্তিস্তর থেকে নীচু শক্তিস্তরে লাফিয়ে যায়, এটি একটি নির্দিষ্টমানের শক্তি বিকিরণ করে । সেইরকম, যদি কোনও ইলেক্ট্রন নীচু শক্তিস্তর থেকে উঁচু শক্তিস্তরে লাফিয়ে যায়, এটি একটি নির্দিষ্টমানের শক্তি শোষণ করে ।