নিউক্লিয়াস আবিষ্কার

নিউক্লিয়াস আবিষ্কার
                                           

১৯০৬ - ১১ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, হান্স গাইগার,
আর্নেস্ট মার্সডেন


১৯০৬ খ্রীস্টাব্দে আর্নেস্ট রাদারফোর্ড ছিলেন কানাডার ম্যাক্গিল বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে তিনি সচেষ্ট ছিলেন চৌম্বক ক্ষেত্রে আলফা কণার বিচলন পরিমাপ করতে । তিনি প্রত্যক্ষ করলেন, পাতলা অভ্র পাতের মধ্য দিয়ে যাবার সময় আলফা কণা সামান্য বিচলিত হয় সোজা রাস্তা থেকে ।

ইংলণ্ডের ম্যানচেস্টারে রাদারফোর্ড এবং হান্স গাইগার গণনা করতে সক্ষম হলেন আলফাকণার সংখ্যা, যখন তারা একটি জিঙ্ক-সালফাইড পর্দায় আঘাত করল । গাইগার ও আর্নেস্ট মার্সডেন ব্যবহার করেছিলেন একটি জিনক-সালফাইড স্ফুলিঙ্গায়ন গনক-যন্ত্র (scintillator) বিভিন্ন বস্তুর দ্বারা আলফা-কণার বিচলন বিষয় নির্ধারণ করার জন্য।
১৯০৯ খ্রী-র গোড়া থেকেই নানা তথ্য সংগৃহীত করা হল । ডিসেম্বর, ১৯১০ খ্রী নাগাদ রাদারফোর্ড এই সকল তথ্য ব্যাখ্যা করার জন্য একটি মডেল তৈরী করে ফেললেন । ১৯১১-খ্রীর ৭ মার্চ ম্যানচেস্টার %তিেরর্য অন্দ হিলোসোপহিচল% সোসায়িটির সভায় অzাটমের নিউক্লিয়ার মডেল পেশ করলেন । অবশ্য, জে.পেরিন ১৯০১-খ্রীতে অzাটমের সৌর-সিস্টেম মডেল প্রস্তাব করেছিলেন, রাদারফোর্ডের মডেল সর্বপ্রথম ব্যাখ্যা করতে পারলো আলফাকণার বিক্ষেপন পরীক্ষা (scattering experiment) থেকে লব্বì তথ্যগুলির ।

এইসব পরীক্ষাগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এরা অ্যাটমের নিউক্লিয়াস এবং মৌলিক কণাগুলির বিষয়ে ভবিষ্যত্ পরীক্ষা-নিরিক্ষার আদিধাঁচ (prototype) হিসাবে কাজ করেছে । রাদারফোর্ডের গবেষণায় পাওয়া গেল বিচ্ছুরিত আলফা-কণা বিচ্ছুরণ-কোণের অপেক্ষক, যা' থেকে প্রতীয়মান হল যে অ্যাটম অতি ক্ষুদ্র (tiny) অত্যন্ত ঘন (very dense) ধণাত্মক আধানের কোর ।

চিত্র : রাদারফোর্ডের নিউক্লিয়াস মডেল

এটা খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার যে রাদারফোর্ডের মডেল প্রথম প্রথম বিশেষ সারা জাগায়নি । পরবর্তীকালে, নীলস বোর, ১৯১৩ খ্রীষ্টাব্দে বর্ণালী-বিষয়ক লাইনগুলি (spectral lines) ব্যাখ্যার জন্য রাদারফোর্ডের মডেল ব্যবহার করেন ; মারি কুরী প্রায়শঃই উল্লেখ করতেন রাদারফোর্ড-মডেলকে তাঁর বত্তৃÝতায় এবং গবেষণাপত্রে ।