ক্রোমোজোম তত্ব ও জীন-ম্যাপ

ক্রোমোজোম তত্ব ও জীন-ম্যাপ
                                                   

আবিষ্কার : ১৯১০
বিজ্ঞানী : টমাস হান্ট মরগান,
অzালফ্রেড হেনরি স্টার্টভেন্ট


বংশগতি ক্রোমোজোম তত্ব নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময়ে জীববিজ্ঞানী টমাস হাণ্ট মোরগান কখনও কখনও নজর করেছিলেন যে, অন্বিত প্রলক্ষণগুলি আলাদা হয়ে যায় । ইতিমধ্যে, একই ক্রোমোজোমের অন্যান্য প্রলক্ষণগুলি যত্সামান্য অন্বয় উদ্ঘাটন করে । মোরগান প্রস্তাব করলেন যে কোনও প্রকার ক্রোসিংওভার (crossover ) বা পুনর্মিলন (recombination) প্রক্রিয়া এই ফলকে ব্যাখ্যা করতে পারে । বিশেষভাবে তিনি প্রস্তাব রাখলেন যে, দুটি সংযুক্ত ক্রোমোজোম 'গণ্ডী পার হয়ে' তথ্য দেওয়া-নেওয়া করতে পারে । আজ আমরা জানি যে পুনর্মিলন হয় মেয়োসিসের প্রথম দশায়।

মরগান ভাবনা করলেন ক্রোমোজোমে জীনগুলি হল যেন সুতার উপর মুক্তা বসানো (Weiner, 1999) ; অর্থাত্ তারা প্রাকৃতিক বস্তু । ক্রোমোজোমে জীনগুলি যত কাছাকাছি থাকবে, তাদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়ার সুযোগ তত বেশি হবে । একই ক্রোমোজমে জীনের অবস্থান একটা থেকে অন্যটির, যত বেশি হবে ততই পুনর্মিলনে আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । মোরগান সঠিকভাবেই সিদ্ধান্ত করলেন যে, দুটি জীনের মধ্যে সংবদ্ধতার (linkage) শক্তি নির্ভর করে ক্রোমোজোমে তাদের পরস্পরের মধ্যে দূরত্বের উপর ।

মরগান দ্বারা থিসিস উপস্থাপনের পরপরই তাঁর ১৯ বত্সর বয়েসি সহকর্মী (কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র) অzালফ্রেড হেনরি স্টার্টভেন্ট (Alfred Henry Sturtevant) ভাবনা করলেন যে যদি ক্রসিং-ওভার-এর কম্পাঙ্ক দূরত্বের উপর নির্ভরশীল, তাহলে ক্রোমোজোমে জীনের অবস্থান-কে ম্যাপের সাহায্যে দেখানো যেতে পারে । যে রকম ভাবনা, সেই মত স্টার্টভেন্ট জীন-ম্যাপ তৈরি করে ফেললেন ।