একস্‌-রে কেলাস-বিজ্ঞান, মিয়োগ্লোবিন

একস্‌-রে কেলাস-বিজ্ঞান, মিয়োগ্লোবিন
                                                                         

আবিষ্কার : ১৯৩৪ সাল
বিজ্ঞানী : জে. ডি. বার্নাল ও দরথি ক্রোফোর্ড, ম্যাক্স পেরুত্‍‌ , জে. সি.কেন্ড্রু ও অন্যান্যরা


কি ভাবে একটি প্রোটিন (Protien) তার স্বতন্ত্র জৈবিক ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তার ত্রিমাত্রিক গঠনবিন্যাস জানা একান্ত দরকার । ১৯৩৪ সালে J.D.Bernal এবং Dorothy Hodgkin (তখন Dorothy Crowford) দেখালেন যে প্রোটিন ব্যুহিত (crystallised) অবস্থায় রঞ্জন রশ্মিকে deffract করলে নানা স্পোটের একটা জটিল নকশা পাওয়া যায় । তাঁরা বুঝেছিলেন যে, এই নকশাগুলির মধ্যে প্রোটিনের গঠনবিন্যাসের সমস্ত তথ্য আছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় সে সময়ে তথ্যগুলির রহস্যভেদ করা যায়নি । 

বিভিন্ন গুরু-ধাতু সম্বলিত কেলাসের প্যাটার্ন তুলনা করে এই ধাঁধা সমাধানের জন্য Max Perutz এবং তাঁর সহকর্মীরা একটি পদ্ধতি বের করলেন । ১৯৫৮ সালে J C Kendrew ও অন্যান্যরা প্রোটিনের প্রথম ত্রি-মাত্রিক চিত্র উত্‍‌পাদন করতে সক্ষম হলেন- মিয়োগ্লোবিন (Myoglobin)-নামক প্রোটিন যা' পেশিগুলি ব্যবহার করে অক্সিজেন সঞ্চয়ের জন্য ।