বোস-আইনা্স্টাইন সাংখ্যায়ন
আবিষ্কার : ১৯২৪
বিজ্ঞানী : সত্যেন্দ্রনাথ বোস
আলোর দ্বৈত চরিত্রের স্বরূপ বিষয়ে কিছু অসাচ্ছ্ব্যন্দ ছিল যা দূর হল বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বোসের একটি প্রবন্ধ দ্বারা ( ১৯২৪ খ্রী-র জুন মাস )- Planck's law and the hypothesis of light quanta । প্রবন্ধটি ছাপা হয়েছিল Zeitschrift fur physik জার্নালে ( অনুবাদক আইন্স্টাইন নিজে ) ঐ বত্সর জুলাই মাসে । বোস বিকিরণকে এমন এক গ্যাসের মতন ভাবলেন যা ফোটন দিয়ে পূর্ণ । পারিসাংখ্যিক বলবিদ্যার সাহায্যে কৃষ্ণবস্তুর বিকিরণ এক নূতন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা হল । প্রচলিত পারিসাংখ্যিক বলবিদ্যায় বোলজা্ম্যানের চিন্তা অনুসারে প্রত্যেক অণুদের একটি নিজস্ব পরিচয় আছে ; প্রত্যেক অণুগুলিকে আলাদাভাবে চিহ্ণিত করতে পারা যায় । বিপরীতক্রমে বোসের চিন্তায় আলোক কণারা সবাই এক ও অভিন্ন । বোলজা্ম্যানের চিন্তায় B অণুর জায়গায় A অণুকে বসালে সম্পূর্ণ নূতন বিন্যাস পাওয়া যাবে ; যাকে আলাদাভাবে গণনা করতে হবে । বোসের চিন্তায় দু'টি একই ধরণের কণা স্থানান্তর করলে নূতন সজ্জা পাওয়া যাবে না । এর ফল হলো কৃষ্ণবস্তু বিকিরণের ফরমূলার নূতন প্রমাণ ।
আইনা্স্টাইন বুঝতে পেরেছিলেন বোস-এর পরিসাংখ্যিক পদ্ধতি সাধারণ পরমাণুদের বেলাতে প্রয়োগ করা যাবে । তিনি ১৯২৪ খ্রী-তেই বোস-এর কাজের উপর ভিত্তি করে একটি প্রবন্ধ রচনা করেন ; জন্ম নিল নূতন এক সাংখ্যায়ন⤒ 'বোস-আইনা্স্টাইন সাংখ্যায়ন' ।