মিউটেশন তত্ব

মিউটেশন তত্ব
                                         

আবিষ্কার : ১৯০১ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : হুগো ডি ভ্রাইস


জীবের বংশবৃদ্ধির বিষয় গভীর ভাবে চিন্তা করে ডারউইন এনেছিলেন বিবর্তনবাদ । এই মতবাদে পশুপাখি, গাছপালা এবং কীটপতঙ্গ তাদের মৃত্যুর আগে যা' বাঁচবে তার চেয়ে অনেক বেশি সন্তানসন্ততি সৃষ্টি করবে । এর ফলশ্রুতি হিসাবে ডারউইন বললেন যে যেহেতু প্রাণীদের ক্রমাগত বংশবৃদ্ধি হবে তারজন্য তাদের মধ্যে আহার, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যের জন্য লেগে থাকবে নিরন্তর যুদ্ধ। এর থেকে আসলো তাঁর মতবাদ- যোগ্যতমের টিকে থাকা ('সারভাইভাল অফ দা ফিটেস্ট') তত্ব ।
ডারউইনের এই অতি ধীর পদক্ষেপে প্রাকৃতিক নির্বাচনের তত্বকে অনেকে পুরোপুরি সঠিক বলে মানতে নারাজ ছিলেন । অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হল । হুগো ডি ভ্রাইস নামে একজন বিজ্ঞানী অল্প সময়ের মধ্যে কতকগুলি উদ্ভিদ সৃষ্টি করে সকলকে চমকে দিলেন । ডি ভ্রাইসের মতে জীবজগতে ক্রমবিবর্তন হতে হাজার বত্সর লাগে না । আচমকা পরিবর্তনের ফলে জীবজগতে আশু পরিবর্তন সম্ভব । এই আকস্মিক পরিবর্তনের বিষয়কেই বলা হচ্ছে 'মিউটেশন' বা পরিব্যক্তি । স্বতঃপ্রসূত আকস্মিক পরিবর্তন ঘটানোর জন্য বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দিলেন পরিবেশের অবস্থা বদল করে, উষ্ণ ও শৈত্য এই দু'রকমের আবহাওয়া জীবজন্তুর বংশানুক্রমিক কোনও স্থায়ী পরিবর্তন আনে কিনা । এই বিষয়ে মাছি নিয়ে মর্গানের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

ডি ভ্রাইস মিউটেশন বিষয়ে তাঁর গবেষণা লিপিবদ্ধ করেন Die Mutationstheorie(১৯০১-০৩) জার্নালে । পুরাণো তথ্য ঘাটতে গিয়ে তিনি মেণ্ডেল-এর ১৮৬৬ খ্রী-তে মটর শুটি-র উপর গবেষণার তথ্য জানতে পারেন ; এবং তাঁর পরবর্তী লেখায় তিনি মেণ্ডেলকে বংশগতির সূত্রের আবিষ্কারক হিসাবে উল্লেখ করতে কখনও ভোলেননি ।