নিউট্রন আবিষ্কার

নিউট্রন আবিষ্কার
                                                              

আবিষ্কার : ১৯৩২ খ্রীষ্টাব্দ
বিজ্ঞানী : জেমস চ্যাডউইক


নিউট্রন-আবিষ্কার খুব সহজে হয়নি- এতে সাক্ষর রেখেছেন অনেক বিজ্ঞানী । প্রোটনের সমান ভরের নিস্তরিত কণার অস্তিত্বের কথা রাদারফোর্ড-সহ কতিপয় বিজ্ঞানী ভেবেছিলেন, এমনকি ১৯২০ সালের বাকেরিয়ান বত্তৃÝতায় এর উল্লেখ করেছিলেন রাদারফোর্ড । ওয়ালটার বোথে ও তাঁর ছাত্র এইচ বেকার ১৯২৮ খ্রী-তে নিউট্রনের প্রকৃত আবিষ্কারের ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ করেন । তরিতগণক যন্ত্র ব্যবহার করে তাঁরা ভেদশক্তি সম্পন্ন বিকিরণের সন্ধান পেলেন যাকে তাঁরা ব্যাখ্যা করলেন গামারশ্মি বলে । তাঁরা বিকিরণের শক্তি মাপার ইচ্ছায় তার শোষণসহগ (অয়সওরপতেওন চওএফফচেেএনত) পরিমাপ করার চেষ্টা করলেন । তাঁরা পরীক্ষাটিকে লিথিয়াম ও বোরণের বেলায় সম্পাদন করলেন । দেখা গেল তাঁদের সিদ্ধান্তলব্বì গামারশ্মির শক্তি আপতিত আলফা কণার শক্তির চেয়ে বেশি । এই শক্তি কেন্দ্রীন ভাঙ্গার ফলে সৃষ্ট । এই অনুসন্ধান চলল কয়েকবার ধরে ।

বিজ্ঞানীদ্বয় ইরীন কুরী ও ফ্রেডারিক জোলিও সুতীব্র পেলোনিয়াম উত্স ব্যবহার করে বোথের ভেদশক্তি সম্পন্ন রশ্মি নিয়ে অনুসন্ধান চালালেন । বোথের বিকিরণ প্যারাফিন স্তর থেকে প্রোটন বার করে দিতে পারে । কুরী ও জোলিও আয়নীভবন কক্ষকে ইলেক্টামিটারের সঙ্গে যুক্ত করে এবং পরে দ্রুত মেঘকক্ষের সাহায্যে পরীক্ষাটি যাচাই করে ১৯৩২ খ্রী-র ১৮ জানুয়ারী একটি বিäময়কর ও অতি প্রয়োজনীয় আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেন । নির্গত প্রোটন সনাক্ত হল, কিন্তু কুরী ও জোলিও এটিকে কম্পটন বিক্রিয়া হিসাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলেন । ইলেক্ট্রনের বেলাতে যে ভাবে গণনা করা হয় সেভাবে গণনা করে দেখা গেল আশার তুলনায় প্রস্থচ্ছেদ প্রায় তিন মিলিয়ন গুণ বেশি ।

ক্যাভেণ্ডিশ ল্যাবোরেটোরিতে জেমস চ্যাডউইক উত্স হিসাবে ব্যবহার করলেন পোলোনিয়াম ও বেরিলিয়াম । নির্গত রশ্মির সঙ্গে তিনি কেবলমাত্র হাইড্রোজেনের সংঘর্ষ ঘটালেন না, হিলিয়াম ও নাইট্রোজেনের সঙ্গেও সংঘর্ষ ঘটালেন । তিনি এবার প্রমাণ করলেন যে বিকিরণের মধ্যে প্রোটনের ভরের সমান নিস্তরিত কণা আছে । এই কণার নাম তিনি দিলেন নিউট্রন । ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি নেচার পত্রিকায় তাঁর গণনার ফল প্রকাশ করলেন ।