জটিল পাসওয়ার্ডও হ্যাকারের কাছে সহজ হয়ে যায় যেভাবে!


প্রকাশের সময়: Tuesday, May 31st, 2016 | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

images


আপনি কি যথেষ্ট বুদ্ধি খাঁটিয়ে পাসওয়ার্ড দিলেন? পাসওয়ার্ড চেকার বলছে অনেক স্ট্রং পাসওয়ার্ড হয়েছে। তৃপ্তি সহকারে পাসওয়ার্ড টি ব্যবহার শুরু করে দিলেন! আচ্ছা কখনো কি ভেবে দেখেছেন হ্যাকার কোনটাকে স্ট্রং ভাবে আর কোনটাকে দুর্বল? হ্যাকার কিন্তু দুর্বল পাসওয়ার্ডই বেশি পছন্দ করে। তারা সাধারণত জটিল পাসওয়ার্ড এর পিছনে বেশি সময় ব্যয় করেনা।
আমাদের ভয় কোথায়? আমরা সবাই ফেসবুক, বিভিন্ন ই-মেইল সহ আরও কিছু অনলাইন একাউন্ট ব্যবহার করছি। অনেকে অনলাইনে কাজ করেন ওডেস্ক বা ফ্রিল্যানসারে তাই অনলাইন ব্যাংক ও ওডেস্ক বা ফ্রিল্যানসারে একাউন্টও থাকে। এই সকল প্রতিষ্ঠান আপনার একাউন্টের সুরুক্ষায় অনেক উদ্যোগ নেয় কিন্তু দুর্বল পাসওয়ার্ড থাকলে অনেক সময়ই তারা কিছু করতে পারেন না। তাই পাসওয়ার্ড জটিল হওয়া জরুরী।
এইকথা ভুল আমরা সবায় জানি। তাহলে এখন আর তেমন কেউ ১২৩৪৫৬ বা A123456 বা Abc123 বা qwerty ধরণের পাসওয়ার্ড আমরা আর ব্যবহার করছিনা। হ্যাকার কি এখন হ্যাক বন্ধ করে দিয়েছে? মজার বিষয় হ্যাকাররা সবসময় এগিয়ে। হ্যাক সবসময় বাড়ছেই।
আসুন দেখে নিন কি করে হ্যাকাররা অতি সহজে হ্যাক করে আপনার পাসওয়ার্ড, যা আপনার কাছে অনেক শক্তিশালী!
আপনি যখন পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন তখন কিছু অতিসাধারণ ভুল করে থাকেন যা আমরা ভুল বলে গণ্য করিনা। এমনকি পাসওয়ার্ড চেকার সফটওয়্যার গুলো পাসওয়ার্ড কে স্ট্রং সো করে! কিন্তু এই ভুল গুলোই হ্যাকাররা খুঁজে।
এ রকম কমন কিছু ভুলঃ আপনি ১টা বড় হাতের অক্ষর, সাথে ৫টি ছোট হাতের অক্ষর ও ২ টি সংখ্যা দিয়ে পাসওয়ার্ড দিলেন মোট ৮ সংখ্যার। যা অনেক স্ট্রং মনে হতে পারে। কিন্তু এই পদ্ধতি হ্যাকাররা সব থেকে সহজে ভেঙ্গে ফেলে!
এখন হয়তো অনেকে বলবেন ৯ সংখ্যার পাসওয়ার্ড হলে পারত না। তাহলে ৫টির জায়গায় ৬টি ছোট হাতের অক্ষর দিন। এখনো হ্যাকাররা অনেক খুশি। এটিও অনেক সহজ!
আচ্ছা এই টেকনিক বাদ। এখন ১ট বড় হাতের অক্ষর সাথে ৩টি ছোট হাতের অক্ষর ও ৪ টি সংখ্যা দিয়ে পাসওয়ার্ড দিন। তাও কিন্তু আপনার একাউন্ট সুরক্ষিত না!
কিভাবে হ্যাক প্রতিরোধী পাসওয়ার্ড দিবেন?
১. পাসওয়ার্ড নুন্নতম ৮টি অক্ষরের কিন্তু ৯ বা আর বেশি হলে ভালো।
২. কখনই পাসওয়ার্ড দিবার সময় কিভাবে সহজে মনে রাখা যায় তা চিন্তা করবেন না। চিন্তা করবেন কোনটি আপনাকে মুখস্ত করা লাগবে, ওই টাই দিবেন।
৩. পাসওয়ার্ড কখনই বড় হাতের অক্ষর দিয়ে শুরু করবেন না।
৪. পাসওয়ার্ডে নুন্নতম ২টি বড় হাতের অক্ষর ও ২টি ছোট হাতের অক্ষর দিবেন।
৫. সংখ্যা ব্যবহার করবেন, কিন্তু ১২৩… এই ভাবে না।
৬. বিভিন্ন চিহ্ন ব্যবহার করবেন কিন্তু পাসওয়ার্ডের শেষে না। আর যদি একান্তই শেষে ব্যবহার করেন তাও “!” ব্যবহার করবেন না। এই চিহ্ন ভিতরেও ব্যবহার করা ঠিক না। কেননা এই “!” চিহ্ন বহুল ব্যবহার করেন।
৭. পাসওয়ার্ড দিবেন এমন ভাবে জাতে আপনি ছাড়া আর কেও তা বুঝতে না পারে এবং আপনার নিজের জন্যেও কঠিন হবে।